বান্দরবানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের আবাসান সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট নির্মিত এক হাজার ফুট উচ্চতায় হাইল্যান্ডার্স পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট উদ্বোধন করেছেন পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানচিতে এই রিসোর্ট উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন তিন পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপারসহ বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এসময় আইজিপি বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য, পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় দুর্গম থানচির রাস্তাঘাট উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা থানচির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনে একটি মনোরম পরিবেশ এবং পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করতে ‘হাইল্যান্ডার্স পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট’ গড়ে তুলতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি।’
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ জেলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কার্যক্রম শুরু করেছে।
বান্দরবান জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতির এক অপূর্ব লীলাভূমি বান্দরবান। পাহাড়, ঝর্ণা, নদী আর নৈসর্গিক পরিবেশে বান্দরবান যেন সেজেছে এক অপূর্ব সাজে। ভ্রমণ প্রিয় মানুষ বান্দরবানের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটে আসেন এখানে। পর্যটকদের আবাসিক সংকট নিরসনে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট। এ ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হাইল্যান্ডার্স পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার ফুট উঁচু থানচিতে পাঁচ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হাইল্যান্ডার্স পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে রয়েছে বিভিন্ন মানের ভিআইপি কটেজ, হানিমুন কটেজ, এক্সিকিউটিভ কটেজ ও ডরমেটরি। এখানকার অত্যাধুনিক ক্যাফেটেরিয়ায় নানা স্বাদের পাহাড়ি খাবারসহ অন্যান্য খাবারেরও ব্যবস্থা রয়েছে। বিনোদনপ্রেমীদের জন্য আছে এমপি থিয়েটার। পাহাড়ি সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে এখানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি জাদুঘর। রিসোর্টির আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হল থানচি থেকে সাঙ্গু নদী হয়ে রিমাক্রি ও আফিয়ামুখ পর্যন্ত নৌবিহারের ব্যবস্থা।