বামদের হরতালে আগ্রহ নেই কারো

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধাবেলা হরতালে আগ্রহ নেই কারো। অন্যান্য দিনের মতো রয়েছে সবকিছু স্বাভাবিক। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার বাসগুলো। এছাড়া হরতালের ডাক দিলেও মাঠে দেখা যায়নি কোন নেতাকর্মীদের।

সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধাবেলা হরতালের বিষয়ে অবগত নন অনেক সাধারণ মানুষ। হরতাল হলেও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয়। এছাড়া সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

ইপিজেডের কর্মরত গার্মেন্টস কর্মী রেশমি আক্তার জানান, যারা হরতাল ডেকেছে তারা হচ্ছে মূলত সুবিধাবাদী। এদের হরতাল আইওয়াশ মাত্র, এরা রাজনৈতিকভাবে সমস্ত সুবিধা ভোগ করে। এটা ঠিক দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নাভিশ্বাস হয়ে গেছে। দাম বাড়েনি এমন জিনিস খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এ বৃদ্ধি ছোটখাটো বৃদ্ধি নয়, বেশ বড় আকারের বৃদ্ধি। তাই এসব হরতালে কথা মাথা না নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলাম।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, ভোর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা মাঠে আছি। এছাড়া হরতালের ডাক দেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোটের কোন নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত।

সকাল থেকে নগরীর দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

কর্ণেলহাট সৌদিয়া কাউন্টারের ম্যানেজার মাঈনু্দ্দিন ফাহিম বলেন, অন্যান্য দিনের মতো আজকেও আমাদের বাসগুলো সিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে গেছে। হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি।

উল্লেখ্য, হরতালের সমর্থনে গতকাল সন্ধ্যায় নগরীতে মশাল মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা। এর পূর্বে বিকালে পুরাতন স্টেশন চত্বরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে হরতাল আহবানের পর গত ২৬ মার্চ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের যৌথসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বাম জোটের হরতালে গণপরিবহন চলবে।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।