বারেককে হারিয়ে বাবুর জয়, ভাইস চেয়ারম্যান রকিব-ফাতেমা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লংগদুতে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. রকিব হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফাতেমা জিন্নাহ জয়ী হয়েছেন।

বুধবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমে ২৩টি কেন্দ্র থেকে আসা ভোটের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন লংগদু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ।

তিনি জানান, আনারস প্রতীকে বাবু ১৭ হাজার ১৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার ঘোড়া মার্কা পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৫৬ ভোট ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ঝান্টু দোয়াত কলম মার্কায় পেয়েছেন ১ হাজার ১৬৫ ভোট এবং মোটরসাইকেল প্রতীকে অ্যাডভোকেট মো. আবছার আলী পেয়েছেন মাত্র ৭৪০ ভোট।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. রকিব হোসেন বই প্রতীকে ১৬ হাজার ৩৭ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফাতেমা জিন্নাহ কলস প্রতীকে ১৭ হাজার ৫২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্য প্রার্থী কল্যাণ প্রিয় চাকমা চশমা প্রতীকে ৯ হাজার ৭৯০ ভোট, তোফায়েল আহমেদ টিউবওয়েল প্রতীকে ৫ হাজার ৫৪৬ ভোট এবং সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম ফুটবল প্রতীকে ১৩ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, বৈধ ভোটারের সংখ্যা ৩১ হাজার ৯০৭, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৬৩৯, মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৩২ হাজার ৫৪৬ এবং ভোটের হার ৫২.০৮ শতাংশ।

এদিকে জয়লাভের পর উৎসুক জনতা ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বাবুল দাশ বাবু বলেন, সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এ বিজয় আমার একার নয়, এ জয় পুরো উপজেলাবাসীর। যারা আমার নির্বাচনে বিরোধিতা করেছেন এ বিজয় তাদের উৎসর্গ করলাম।

এর আগে, বুধবার সকাল ৮টায় ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২৩টি কেন্দ্রে ১৬১টি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলে। তবে পুরো নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ উপজেলায় ৬১ হাজার ২৬৩ জন ভোটারের মধ্যে ৩১ হাজার ৮৭৭ জন পুরুষ এবং ২৯ হাজার ৩৮৬ জন মহিলা ভোটার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।