বিএনপি এলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার হাজার মানুষকে ভাতা দিচ্ছে, ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ড, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ফ্রি ওষুধ, বছরের শুরুতে বিনাপয়সায় বইসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। উন্নয়নে বদলে দিয়েছে পুরো দেশকে। বিএনপি এলে এসব বন্ধ করে দেবে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে যাবে। যে সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এসব করছে সেই সরকারকে একটি করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের আয়োজনে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগীদের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যখন টিকা দেওয়া শুরু করা হয়েছিল তখন মির্জা ফখরুল, জাফর উল্লাহসহ বিএনপি নেতারা মুখ ভেটকিয়ে টিকার বিরোধিতা করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা আবার নিজেরাই টিকা নিয়েছেন। তারা লজ্জা ভেঙে কেউ দিনে কেউ আবার রাতে টিকা নিয়েছেন। বিশ্বের ১৩০টি দেশ যখন টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করেছেন। এক এক করে ইতিমধ্যে তিনটি পর্যন্ত ডোজ দেওয়া শেষ হয়েছে। এখন চার নম্বর ডোজ দেওয়া হচ্ছে। করোনার প্রকোপ কমায় টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ইউনিয়নের বিরাজ কমিউনিটি সেন্টার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল্লাহ। নাছির উদ্দীন রিয়াজ ও আবু তৈয়ব সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, ইদ্রিছ আজগর, আক্তার হোসেন খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।

এতে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রহিম, সিরাজুল করিম সিকদার, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইদ্রিস মেম্বার, ভাস্কর সাহা, পৌর কাউন্সিলর মাস্টার অলি আহমদ, যুবলীগ নেতা আবু বক্কর, মো. ইব্রাহীম, আবদূর রহিম, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. আলী শাহ, ইব্রাহিম খলিল রিফাত, মোহাম্মদ হান্নান প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।