বিএনপি—জামায়াতের অবরোধের প্রভাব চবিতেও, ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক

সারাদেশে চলমান বিএনপি—জামায়াতের হরতাল অবরোধের প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও। অবরোধের প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যেই ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে দুই দফা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি।

গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দফতর ও কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চবির নিরাপত্তা দফতরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গতকাল রাতে কে বা কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও নিরাপত্তা দফতর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ জায়গাগুলোতে কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকায় জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি।

চবি প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার বলেন, আমরা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে সনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের সনাক্ত করা গেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবো। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীদের সার্বক্ষণিক তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, আমাদের ধারণা হরতাল অবরোধ যারা পালন করছে তারাই এ ধরনের কাজ করতে পারে।

চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত বিভাগে ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, বিএনপি জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল বা শিবির ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা মাঠের শক্তিতে না পেরে রাতের আধারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়েছে৷ সাহস থাকলে সামনাসামনি আসুক। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত আছি৷

শাখা ছাত্রলীগের আরেক নেতা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, তারা রাতের আধারে চোরের মতো এসে ককটেল বিস্ফোরণ করে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। দিনের আলোতে আসার সেই সাহস তাদের নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল ও শিবিরের এসব নাশকতার বিরুদ্ধে সর্বদা তৎপর আছে। তারা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করতে চাইলে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।