বিএনপি নির্বাচন চায় না, পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়: দীপংকর তালুকদার

বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে পাহাড়ের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে জনগণ, এ ধারা অব্যাহত রাখতে পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু বিএনপি জামায়াতের দোসররা জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হরতাল অবরোধের নামে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলগুলোর সাথে মদদ দিয়ে শান্ত পাহাড়কে উত্তপ্ত করছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটির লংগদুতে উপজেলা পরিষদের সম্মুখে ফলক উন্মোচন করে ৩৫ কোটি টাকার ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ে উন্নয়ন কাজে বাধা, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রের মহরা দিলে শান্তি চুক্তির সুফল পেতে বাধাগ্রস্ত হবে এলাকার মানুষ। তিনি পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ এবং বিএনপি জামায়াত মৌলবাদীদের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রহিম ও আসমা বেগম, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা ও জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী এরশাদুল হক প্রমুখ।

সাংবাদিক আরমান খানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী সভায় লংগদু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, একটি জায়গার উন্নয়ন করতে গেলে সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকার খুবই আন্তরিক। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এসবে বাধা দিচ্ছে। বর্তমান সময়ে গুম, খুন, পুলিশ হত্যা সহ হরতাল অবরোধের মাধ্যমে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। বিএনপি মূলত নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়।

প্রসঙ্গত, লংগদুতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো রাঙামাটি জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৩৫কোটি টাকার ২০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।