আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক অপশক্তির হোতা বিএনপি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি সারাদেশে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। হত্যার শিকার হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আর নির্জলা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিএনপি চিরাচরিতভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। মফস্বলে সহিংসতা যা ঘটানো হচ্ছে তা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সভায় এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন হবে আমাদের নিয়মে, সংবিধানে যেভাবে লেখা আছে। এর বাইরে কারো চক্রান্তমূলক অভিলাষ বাস্তবায়ন হতে দিবে না আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেন, বিএনপির দাবি একটাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনার পদত্যাগ মানে সংবিধানের চরম লঙ্ঘন। আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না।
তিনি বলেন, আমাদের বিপরীতে যারা অবস্থান করছে তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, পাকিস্তান আফগানিস্তানের বন্ধু, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এরা ষড়যন্ত্রকারী, এদের তৎপরতার কাছে সারেন্ডার করব? সারেন্ডার করে এদেশের মাটি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, স্বাধীনতা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক বিজয়, উন্নয়ন অভিযাত্রা কি বিসর্জন দিবো?
গুলশানে প্রার্থীর ওপর হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থী যেই হোক তাকে প্রার্থী হিসেবেই দেখছে সরকার। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বের বড় বড় নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর মাথাব্যথা বাংলাদেশের মতো দেশ নিয়ে। দফায় দফায় বিদেশিরা আসছে, বিএনপিও দফা দিচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, কাজী জাফরুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ সম্পাদকমন্ডলীর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।