চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকার নিয়েছে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি বলেছেন, আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোন ধরণের ওষুধ ও খাবার সংকট নেই। চিকিৎসার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছু ব্যবস্থাও করা হবে।
সোমবার (৬ জুন) বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে বিএম ডিপো পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আগের দিন চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন ৪৯ জন এবং সোমবার একজনের মরদেহ উদ্ধারের পরও ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে জানিয়ে ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন। মরদেহগুলোর মধ্যে ২২টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, খবর পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২, পার্কভিউ হাসপাতালে ১০, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ জন, ঢাকায় শেখ হাসিনার বার্ণ অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেনাবাহিনী উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জনের দায়িত্ব নিয়েছে, তার মধ্যে ২ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে রোববার পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চমেক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, পার্কভিউ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ১১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরে গেছেন।
এসময় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলম, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।