বিএসপিআইয়ের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা

রাঙামাটি কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (বিএসপিআই) ছাত্রবাসের দোতলা থেকে পড়ে শেখ সাদিকুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।

সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নিহতের বড় ভাই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় এই হত্যা মামলা দায়ের করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের বড় ভাই মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমরা ভাইয়ের মৃত্যুটিকে স্বাভাবিকভাবে আমরা মেনে নিতে পারছিনা। আমরা ধারণা করছি এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা এর সুষ্টু তদন্ত চাই। আর আমার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কতৃপক্ষের গাফিলতিও আছে বলে আমরা ধারণা করছি।

তিনি বলেন, আমার ভাই যেই ছাত্রাবাসের দোতলায় থাকতো সেখানে জানালায় কোন গ্রীল কিংবা দরজা ছিলোনা। মাত্র দেড় ফিটের সানসেটের মধ্যে শিক্ষার্থীরা অবাধ বিচরণ করতো। এই জায়গাতে যে কোন স্টুডেন্ট গিয়ে যদি দাড়িয়ে কাপড় শুকাতে দেয় কিংবা বসে কথা বলে দুষ্টুমির ছলেও কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই অবাধ বিচরণ কিংবা অব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের সামনেই হয়ে থাকে। অথচ তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাদের কারণেও আমার ভাইয়ের এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।

তিনি ্খাআরও বলেন, ওখানকার সিনিয়রদের দ্বারা জুনিয়ররা র‍্যাগিংয়ের স্বীকার হতে পারে। সর্বপরি আমি এবং আমার পরিবার আমার ভাইটির হত্যার সুষ্টু তদন্ত ও বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থানায় যেহেতু মামলা দায়ের করেছে তাই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে এবং তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূরে আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই কাপ্তাই সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটয়ের কম্পিউটার সায়ন্সে এন্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের ৫৫তম ব্যাচের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র শেখ সাদিকুর রহমান ছাত্রাবাসের দোতলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আইসিউতে থাকা অবস্থায় গত ১৯ জুলাই সকাল ১০টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।