বিশ্বে করোনায় বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে সংক্রমণ

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৪৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে অর্ধশতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ২৪ হাজার ৪৪৪ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৪৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫৪ জনে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৭৪৩ জন এবং মারা গেছেন ১৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২১ হাজার ২২৪ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৩৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ৮৪ হাজার ১৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭১৩ জনের।

ব্রাজিলে মারা গেছেন ৬৫ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৭০ জন। ভারতে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৪১ জন।

তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৪২ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন। ভিয়েতনামে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১২ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। এ ছাড়া ফ্রান্সে মারা গেছেন ৪৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৮১০ জন।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন হংকংয়ে ২০ জন, ইরানে ২৫ জন, গ্রিসে ৬৪ জন, চিলিতে ৭ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৪ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ৩৭ জন এবং মেক্সিকোতে ৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।