সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে বৃষ্টির পানিতে ফের ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকা। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আরও দু’একদিন ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। আর ঝুঁকিতে থাকা এসব মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিতে সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছাতে সমস্যায় পড়েন অভিভাবকরা। একইসাথে অফিসগামী যাত্রীরাও পড়েন বিপাকে। নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে গাড়ির সংখ্যাও কম। তার মধ্যে বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট ডেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতে বাধা দিচ্ছে চালকরা। এতে যানবাহন সংকটে অনেকেই যথাসময়ে গন্তব্যে যেতে পারেননি।
এদিকে, নগরীর মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ ও বহদ্দারহাটসহ নিচু এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাটে হাঁটু পানি। যাত্রীরা পানি ডিঙিয়েই কোনোভাবে চলাচলের চেষ্টা করছেন। এছাড়াও নগরের জাকির হোসেন রোড ও জিইসিতে জলাবদ্ধতার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে এক জায়গায় অনেকক্ষণ ধরে আটকে আছে যানবাহন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। এরমধ্যে সোমবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগের দিন (১৮ আগস্ট) বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৩৩ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তার আগে ১৭ আগস্ট বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। যদিও রোববার দিনে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও রাত ১১টার পর মূলত বেশি বৃষ্টি শুরু হয়।
বৃষ্টির এ ধারা আজ দিনের বাকি সময় এবং কাল ও পরশু সারাদিন থাকতে পারে। এ সময় থেমে থেমে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্র অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার আভাস রয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল হক বলেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে কমপক্ষে আরও দুইদিন এমন ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে সেই সাথে কোথাও কোথাও পাহাড় ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।