বে-টার্মিনালের জন্য প্রতীকী মূল্যে ৫০১ একর খাসজমি পাচ্ছে বন্দর

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় সাগর উপকূলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন ৫০০ দশমিক ৭ একর ভূমি বন্দোবস্ত দিতে সম্মতিপত্র পাঠিয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসন আগের তিন হাজার ৬শ কোটি টাকার মূল্য থেকে সরে প্রতীকী মূল্য হিসেবে বন্দরের কাছে আলাদাভাবে দেয়া তিনটি চিঠিতে তিন কোটি তিন টাকা দাবি করেছে।

জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো তিনটি জমি বন্দোবস্তের চিঠি বৃহস্পতিবার (২ মে) বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক। বন্দর কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী আরও ৩০২ একর ভূমি বরাদ্দের প্রক্রিয়াও চলছে বলেও জানান বন্দর সচিব।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর পান্না আক্তারের স্বাক্ষরিত তিনটি চিঠিতে নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী মৌজায় মোট ৫০০ দশমিক ৭ একর জমি বন্দোবস্তের জন্য প্রতীকী হিসেবে এক কোটি এক টাকা করে মোট তিন কোটি তিন টাকা সেলামি মূল্য জমা দেয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়—অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ১৯৯৫ অনুযায়ী সরকার শর্তসাপেক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণের জন্য এ জমি দীর্ঘমেয়াদে বন্দোবস্ত দেয়ার অনুমতি দিয়েছে।

বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য মোট ৮৭০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে ৬৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ করেছে। আরও ৮০৩ একর ভূমি বরাদ্দ পেতে গত এক দশক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য ৫৬৮ একর ভূমি পেলো বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে প্রায় ২ হাজার ৫০০ একর জমি নিয়ে বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি জমি সমুদ্র উপকূল ভরাট করে উদ্ধার করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে আগামী অর্ধশত বছর পর্যন্ত দেশে কোনো নতুন বন্দর নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে না বলে বন্দর সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।