বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮১ জন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতায় মোট এক হাজার ৫৮১ জন নিহত হয়েছে। আন্দোলনে আহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি মানুষ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি জানিয়েছে, আন্দোলনে নিহতদের বেশির ভাগই তরুণ এবং দরিদ্র পরিবারের।

তবে এটাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন নয় বলে জানান উপকমিটির সদস্যরা। অনেক আহতের তথ্য একাধিকবার এসেছে এবং অনেকের নাম এখনো এ তালিকায় যুক্ত হয়নি বলেও জানান তারা।

স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্যসচিব তারেক রেজা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গঠিত স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ব্যক্তিদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

আমাদের প্রাথমিক তালিকায় মোট ১,৫৮১ জনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমাদের প্রাথমিক তালিকাটির তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এ কমিটি তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত তালিকা প্রদান করবে।’

তিনি বলেন, ‘তালিকা প্রণয়নের কাজে আমাদের সহায়তা প্রদান করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ অন্য বেশ কয়েকটি সংস্থা।

পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য প্রদান করে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, যা এ তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবারকে ফোন দিয়ে বা সরাসরি যোগাযোগ করে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। তবে এখনো হয়তো আরো অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা শহীদ হলেও তাদের নাম এ তালিকায় আসেনি। আমরা জেলা কমিটিগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন প্রতিটি নাম ও তথ্য ভেরিফাই হয়ে আমাদের হাতে আসে।’

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা, আইটি টিমের ফরহাদ আলম ভূইয়া, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।