ব্যবসায়িক প্রলোভনে অর্থ আত্মসাৎ, ২ প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতারণার মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে পটিয়া আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মোহাম্মদ ইকবালুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী।

বুধবার (১১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জসীম উদ্দীন। মঙ্গলবার (১০ মে) পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার ধামগড় গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. ওমর ফারুক (৩৭) ও পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বারৈপাড়ার এলাকার মৃত আব্দুল মালেক চৌধুরীর ছেলে মো. আবু রায়হান চৌধুরী (৩২) ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে আবু রায়হান চৌধুরীর মাধ্যমে ওমর ফারুকের সাথে বাদী ইকবালের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর ইকবালকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার প্রলোভন দেখায় ওমর ফারুক। নগরীর রিয়াজউদ্দীন বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেহেদী টেলিকম এন্ড মোবাইল সেন্টারে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয় ফারুক।

ওই বছরের ১৩ অক্টোবর পটিয়া ক্লাব রোড এলাকায় ইকবালের কাছ থেকে বিনিয়োগ চুক্তিনামার মাধ্যমে নগদ ৫ লাখ টাকা নেন ফারুক। চুক্তিপত্রে সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর দেন ২ নম্বর আসামি আবু রায়হান চৌধুরী। এরপর প্রথম চার মাস তাকে লাভের কিছু অংশ দিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরও ২৩ লাখ টাকা নেন ফারুক। পরে ফারুক বাদী ইকবালকে লভ্যাংশের টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে তিনি আসল টাকা ফেরত চাইলে তা দিবে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে ফারুক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী ইকবালুর রহমান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, ব্যবসায়ে বিনিয়োগের কথা বলে আমার কাছ থেকে ২৮ লাখ টাকা নিয়ে ফারুক তা আর ফেরত দেয়নি। ফারুক এবং রায়হান মূলত প্রতারক। প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ তাদের নেশা।

তিনি আরো বলেন, প্রতারক ফারুক রিয়াজউদ্দীন বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চেক ও স্ট্যাম্প দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। সে ও রায়হান বিভিন্ন সময় ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে এবং তা ব্যবহার করে নানাজনের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। ঈদের দিন আমি আবু রায়হান চৌধুরীর কাছে টাকা ফেরতে চাইলে সে আমাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।