চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন, তিনজনই নারী। তারা হলেন—নাছরিন আক্তার (৩৭), রাজ লক্ষ্মী শর্মা (৫৯) ও রুমানা আক্তার (২৪)।
গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে মারা গিয়েছিল ৪১ জন। গত বছরের মৃত্যুর রেকর্ড গতকালই স্পর্শ হয়ে যায়। আজ তিনজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গত চার বছরে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হলো!
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে এ তিনজন মারা যাওয়ার তথ্য জানায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। নতুন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ১০৩ রোগী। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকেছে ৪ হাজার ৬১১ জনে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, জোরারগঞ্জ এলাকার নাছরিন আক্তার ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে গত ১৯ আগস্ট নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নগরীর সদরঘাট এলাকার রাজ লক্ষ্মী শর্মা গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ওই দিনই মারা যান।
অপর রোগী রুমানা আক্তার গত ১৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনিও ১৯ আগস্ট মারা যান।
তিন জনই ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
গত চার বছরের মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। ২০২১ সালে মারা যান মাত্র ৫ জন। কিন্তু ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়ে ৪১ জনের। এ বছর চলতি আগস্ট মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসেব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০৩ জন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩২ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৭১ জন। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬১১ জন।
চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী নগরবাসীকে বাড়ির আশেপাশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি জমে থাকা পানিতে যাতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়ে সারছেন তাদের দায়।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।