কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নে ভাতিজা তারিফ হাসানের দায়ের কোপে চাচার দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার খুরুশকুলের হাটখোলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সেলিম উদ্দিন।
আহত ব্যক্তির নাম মোর্শেদ আলম (৩৬)। তিনি হানিমুন রিসোর্টে কর্মরত এবং খুরুশকুল ইউনিয়নের হাটখোলার পাড়ার এলাকার মৃত নজির আহামদের ছেলে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বড় ভাই বেদারুল আলমের সঙ্গে ভিটেবাড়ি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল মোর্শেদ আলমের। এ নিয়ে কয়েকবার বিচার-সালিসও হয়েছে। বুধবার ইফতারের পর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বেদারুল আলমের ছেলে তারেক হাসান আকস্মিক ধারালো কিরিচ দিয়ে মোর্শেদ আলমের হাতে উপর্যুপরি কোপ দেন। এতে তার দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে তার দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জমিজমার বিরোধে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএফ
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।