ম্যাচ যত শেষের দিকে এগুচ্ছিলো খেলা তত জমে উঠছিলো। শেষ ওভারে জিততে ভারতের দরকার ১২ রান। টাইগার পেসার তানজিদ সাকিবের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক সাকিব। তানজিদের প্রথম তিন বল রানশূন্য। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন ভারতের মোহাম্মদ শামি। পঞ্চম বল ফাইন লেগে ঠেলে দুই নিতে গেলে তানজিদ তামিমের দুর্দান্ত থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন লিটন দাস।
বাংলাদেশ শিবিরে উচ্ছ্বাস। এশিয়া কাপে ভারতেকে ৬ রানে হারিয়ে উল্লাস।
এর আগে ৪৯তম ওভারটি করতে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম স্পেলে ভালো না করলেও ডেথে দুর্দান্ত কাটার মাস্টার। সেই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন ফিজ। আউট করেন ৩৪ বলে ৪২ করে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ ছুটিয়ে নিতে চাওয়া অক্ষরকেও।
তাতে করে এশিয়া কাপে দশ বছর পর আবারও ভারতকে হারানোর স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এতে করে এশিয়া কাপ মিশন শেষ হলো জয় দিয়ে, সেটাও আবার টুর্নামেন্টের সেরা দলকে হারিয়ে।
অনেক আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে পারত ভারত। কার্যত তাদের লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন শুভমান গিল। তবে তার বিদায়ও বাংলাদেশের জয়ের পথের বাধা দূর করতে পারেনি। এরপর অক্ষর প্যাটেল ও শার্দুল ঠাকুর চোখ রাঙাতে থাকেন। সেই চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের লাগাম পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছেন মুস্তাফিজ-সাকিবরা।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের আর তেমন কিছুই হারানোর ছিল না। কিন্তু আগেই বিদায় নিশ্চিত করা চোট জর্জরিত টাইগারদের জন্য একটি জয় কিছুটা হলেও ওষুধের কাজ দিতো। সাকিব ও তাওহীদ হৃদয়ের পর সেই কাজটা দলের টেল-এন্ডাররা ব্যাট হাতে সুগম করে দিয়েছেন। সেই ধারা বজায় ছিল বোলিংয়েও।
শুরুতেই অভিষিক্ত পেসার তানজিম সাকিব উইকেটের সূচনা করেন। নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুটা রোহিত শর্মার উইকেট দিয়ে করেন তিনি। এরপর ইনিংসে তৃতীয় ওভারেই আবারও তার দাপট। সেইসঙ্গে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বল করতে থাকেন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা মুস্তাফিজ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।