ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে আবারও জলাবদ্ধতা

সময়ের ব্যাবধানে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের হয়েছে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন। চারদিকে গড়ে ওঠেছে বড় বড় স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান, পাল্টেছে নগরের বিভিন্ন দপ্তরে কর্তাব্যক্তিরা। তবে চিরকালের সাথী হয়ে রয়ে গেছে জলাবদ্ধতার সমস্যা। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা—এ যেন চট্টগ্রাম নগরীর স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, গেলো সাপ্তাহ খানেক আগে ভারি বর্ষণে পুরো চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এবার বৃষ্টি শুরু হতে না হতে ফের জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে পাহাড়ধসেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

সরজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিপাতে নগরের হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ ও শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, ছোটপোল, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, ফিরিঙ্গিবাজারের একাংশ, কাতালগঞ্জ, কেবি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, মুরাদপুরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও অলিগলি পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে আজ থেকে শুরু হওয়া এইসএসসি পরীক্ষার্থীদেরও পড়তে হয়েছে বিপাকে। যানবাহন সংকটে শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষদের সকাল থেকে পোহাতে হয়েছে চরম ভোগান্তি।

চট্টগ্রামের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বা হবে, সেসব এলাকায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা আছে। চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। চট্টগ্রাম নদী বন্দরে এক নম্বর নৌ-সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৩.৯ মিলিমিটার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।