ভাসানচরের পথে উখিয়া ছাড়লেন ১৪৩৭ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির থেকে ১২ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ১৪৩৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে ২৭টি বাসে করে চট্টগ্রামের পথে রওনা দিয়েছে। রাতে এসব বাস রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজুওয়ান হায়াত। তিনি জানান, ১২ দফায় ১৪৩৭ জন রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। মূলত তারা চট্টগ্রামে রাতে পৌঁছাবেন। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে সেখান হতে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন তারা।

জানা গেছে, ১৫টি মিনি বাসে করে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা ও তাদের মালামাল নিয়ে আসা হয় মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের ট্রানজিট পয়েন্টে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ও সরকারের মধ্যে ভাসানচরে শরণার্থী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হওয়ার পর তৃতীয়বারের মতো সেখানে রোহিঙ্গাদের নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই জায়গায় এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। এদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে পালিয়ে এসেছিলেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।