ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ‘যুগের ভোগান্তি’ নিমিষেই সমাধান করলেন এসি ল্যান্ড

মানুষ মাত্রই ভুল করে। আর সেই ভুল যদি হয় ভূমি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে তবে তার ভোগান্তি অন্তহীন। তবে চট্টগ্রামের সন্তান সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর ভূমি ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন। ভূমি মন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভোগান্তিমুক্ত ভূমি সেবা দিতে ভূমি অফিসগুলো সচেষ্ট।

তারই অংশ হিসেবে লিখতে গিয়ে করণিক ভুলের (অসাবধানতায় করা ভুল) যে ভোগান্তি তা নিরসনে এসি ল্যান্ডদের হাতে দিয়েছেন ক্ষমতা। ভূমি জরিপের চূড়ান্ত মুদ্রিত খতিয়ানের ভুল মাঠপর্যায়েই সংশোধন বা রেকর্ড সংশোধন করতে পারছেন তাঁরা। ২০২১ সালের ২৫ জুলাই এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এতে একদিকে ভূমির মালিকপক্ষ ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছেন। অপর দিকে এসব ঝামেলায় নিয়ে ভূমির মালিকপক্ষকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হতো। এখন ছোট-খাটো ভুল সংশোধনের জন্য আদালত অযথা সময় নষ্ট করতে হয় না। সব কিছু যাছাই-বাচাই করে এসিল্যান্ডরাই নিরসন করছেন এই ভোগান্তির।

সারা দেশের হাজারো উপকারভোগীর একজন পতেঙ্গার জাহাঙ্গীর আলম। প্রবাস জীবনের সঞ্চয়ে নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় কেনা জায়গায় করণিক ভুলে তার ভোগান্তি ছিল এক যুগের। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে পতেঙ্গা সার্কেল ভূমি অফিসে একটি মিস কেস মামলা করেন। বিভিন্ন সময় তিনি ভূমি অফিসে গেলে নানা জটিলতা তার সমাধান হয়নি। তবে ২০২১ সালের ২৫ জুলাইয়ের পরিপত্রের পর তিনি আর যোগাযোগ করেননি।

সম্প্রতি তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে তার সমস্যা জানালে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমানকে কাগজপত্র দেখে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশিনার মিজানুর রহমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বয়োবৃদ্ধ জাহাঙ্গীর আলমের সমস্যা নিমিষেই সমাধান করেন।

পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, বতর্মান সরকার ভোগান্তিহীন ভূমিসেবা নিশ্চিতে ভূমি ডিজিটালাইজেশনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর সুফল পেয়েছেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি করণিক ভুলের জন্য গত প্রায় একযুগ কষ্ট পেয়েছেন। সম্প্রতি তিনি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে দেখা করলে স্যার আমাকে সব কাগজপত্র দেখে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। আমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের আলোকে জাহাঙ্গীর আলমের কাগজ পত্রের করণিক ভুল সংশোধন করে মিস মামলা নিষ্পত্তি করেছি। এতে তাঁর একযুগের ভোগান্তি দূর হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।