ভোট ছাড়া কেউ জনপ্রতিনিধি হতে পারবে না—এসএম মামুন মিয়া

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মামুন মিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনা মনে করে মা-বোনরা ভোট কেন্দ্রে গেলে ধানের শীষকে ভোট দিবে। এ অপরাধে আমাদের মা-বোনদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়নি। কেন্দ্রে কেউ সাহস করে গেলেও বলা হতো, তার ভোট হয়ে গেছে, বাড়ি চলে যান। সেদিনের অবসান ঘটেছে, এখন ভোট ছাড়া কেউ জনপ্রতিনিধি, এমপি-মন্ত্রী হতে পারবে না। মানুষ এখন পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে পারবে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহায় ‘শিকলবাহা আলোর পথে’ সামাজিক সংগঠনের আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পরে মুক্তভাবে কথা বলার পরিবেশ আমরা পেয়েছি। বিএনপির নাম শুনলে বাঁধা আসতো এবং আমাদেরকে প্রোগ্রাম করতে দিতো না। খালেদা জিয়ার কোনো প্রোগ্রামের কথা শুলনে সেদিন রাতে নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ করতো। নেতাকর্মীদেরকে অন্যায়-অত্যাচার, মামলা-হামলার শিকার হতে হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ‘স্বৈরশাসকের’ পতন ঘটিয়েছে। বিএনপি রাজনীতি করে দেশের মানুষের জন্য, দেশের স্বাধীনতা সর্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য। কোন রক্তচক্ষুকে বিএনপি ভয় পায় না। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত একটি নির্বাচন দিয়ে নতুন স্বাধীনতাকে সুন্দর ভাবে উপভোগ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মানে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করবে বলে মনে করছি।

শিকলবাহা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনসার জিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিকলবাহা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সোলায়মান দোভাষী, দক্ষিণ জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ, শিকলবাহা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. সেলিম ইমরান, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল খান, আকতার হোসেন, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সদস্য মো. রুবেল, ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. হানিফ, ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. বাবুল আহমদ, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আব্দুল মন্নান, উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. মহিউদ্দিন, মো. আবুল কালাম, ছাত্রনেতা শহিদুল হক, মো. সালাউদ্দিন প্রমূখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।