মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বৃষ্টির পানির স্রোতে কলেজ ছাত্রী নিপার মৃত্যুতে টনক নড়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। সোমবার সকালে নিপা পালিত (১৮) প্রাণ হারান। আর বিকেলে মাউশির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সোমবার (৭ আগস্ট) মাউশির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত টানা চারদিনের ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অধিবাসীরা। এ অবস্থায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন অভিভাবকরা। ইতোমধ্যে কোনো কোনো বেসরকারি স্কুল বন্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করে তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিনই বৃষ্টিপতা বাড়ছে রেকর্ড পরিমাণ। সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় পতেঙ্গা অফিসে ২১৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার আর আমবাগান অফিস ২০৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
আগের দিন রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২৩১ দশমিক ৪ মিমি এবং আমবাগান অফিস ১৯৬ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

এমন পরিস্থিতে রোববার (৬ আগস্ট) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসের পূর্বাভাস। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বার্তায় জানানো হয়—অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বাভাসের পরপর রোববার রাতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কাপ্তাইসহ রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস হয়েছে। পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে অচল হওয়া বিভিন্ন সড়ক সচল করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।