চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বালু ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৫) মঞ্জু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাঙ্গুনিয়া পাঠান বাড়িস্থ আসামি ওবায়দুল কাদেরের বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি এলজি এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, র্যাব-০৭ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে মামলার দ্বিতীয় আসামি ওবায়দুল কাদের প্রকাশ ওবায়দুল্লা সুমনকে (৩৮) এবং আল আমিন সাগরকে (৩০) গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে আসামিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় আসামি ওবায়দুল কাদেরের বসতঘর থেকে এসব অস্ত্র জব্দ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, মামলার রহস্য উদঘাটন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অস্ত্রের উৎস উদঘাটন এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। ফৌজদারি অপরাধের সাথে জড়িত শান্তি বিনষ্টকারী ও সাইবার অপরাধের সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর টিম চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। চট্টগ্রাম জেলার নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তার নিমিত্তে সদা জাগ্রত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তি নিকেতন এলাকায় মঞ্জুর হোসেন (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত মঞ্জুর হোসেন উপজেলা স্বনির্ভর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে আড্ডা দিচ্ছিলেন মঞ্জুর হোসেন ও তার বন্ধু সেকান্দর। হঠাৎ তাদের ওপর অতর্কিত গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত মঞ্জুর ও সেকান্দরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মঞ্জুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হলে প্রধান আসামী খান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মঈনুকে গ্রেপ্তারের পর গত ১০ অক্টোবর রাতে মামলার অপর দুই আসামি ওবায়দুল কাদের প্রকাশ ওবায়দুল্লা সুমনকে (৩৮) এবং আল আমিন সাগরকে (৩০) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।