মর্গে তাসিব-শুক্কুরের মরদেহ নিতে স্বজনেরা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত তাসিব ও শুক্কুরের স্বজনেরা মরদেহের জন্য চট্টগ্রাম মর্গে এসেছেন। ছেলে তাসিবের মরদেহের জন্য রিকশাচালক জসিম উদ্দিন এবং শুক্কুরের মরদেহের জন্য তার বড় ভাই মো. হানিফ আসেন। এসময় শিশু তাসিবের বাবা রিকশাচলক জসিম উদ্দিনকে অনেকটাই নির্বিকার দেখা গেছে। ছোখে মুখেও ফুলা। শুধু বলছেন,আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি কারও বিরুদ্ধে মামলা করব না। আমার ছেলের এই পরিণতি মানতে পারছি না।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মরদেহ দুটি সাতকানিয়া থানা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। এসময় যার হয়ে শুক্কুর নির্বাচন করতে গিয়েছিলেন, সেই নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাপস কুমার দত্ত মর্গের সামনে স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে আসেন। এ সময় তিনি স্বজনদের উদ্দেশে বলেন,‘আমি তাকে (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহীদুল্লাহ) দেখে নেব।’

জানা গেছে, শুক্কুর ভাসমান হকার, কাপড়চোপড় বিক্রি করতেন। এ ছাড়া ফটিকছড়িতে একটি মুরগির খামার রয়েছে।

গতকাল সোমবার নির্বাচন চলাকালে উপজেলার নলুয়া ও বাজালিয়া ইউনিয়নে সহিংসতায় তাদের মৃত্যু হয়।

শুক্কুরের বড় ভাই মো. হানিফ বলেন, নগরের শুলকবহর এলাকায় যৌথ পরিবারে তাদের বসবাস। চার ভাইয়ের মধ্যে শুক্কুর সবার ছোট। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।বন্ধুবান্ধবের পাল্লায় পড়ে সে সাতকানিয়ায় গেছে বলে বড় ভাই হানিফের ধারণা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের ডোম কদম আলী বলেন, সকালে লাশ দুটি আনা হয়। ময়নাতদন্ত চলছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।