ভোজন রসিক আর গরুর মাংসের মেজবানির জন্য সারা দেশেই খ্যাতি রয়েছে চট্টগ্রামের। চট্টগ্রামের মানুষই সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস খান। বড় বড় গরু জবাই করে মেজবানির আয়োজন চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। কিন্তু বৃহত্তর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাংসের চাহিদা পূরণে নেই কোনো স্বাস্থ্য সম্মত ব্যবস্থাপনা।
নোংরা আবর্জনা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরু জবাই করে কসাইরা নানা প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে মাংস বিক্রি করে। যে গরু জবাই হয় তার কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় না। অনেক সময় গরুর মাংস বলে চালিয়ে দেওয়া হয় মহিশের মাংসও। এমন প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে সুস্থ দেশীয় গরুর মানসম্মত গরুর মাংসের চাহিদা পূরণ করতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এজেএস এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ‘এক ক্লিকে গরুর মাংসের হাট’ অনলাইন চালু করে সাফল্য পেয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জুঁইদন্ডী এলাকায় নিজস্ব জমিতে গরুর জন্য স্বাস্থ্যকর ঘাষের চাষ করা হয়। সেই ঘাষ খাইয়ে গরু লালন পালন করা হয় সেখানে। এই ‘এক ক্লিকে গরুর মাংসের হাট’ যেখানে নিজেদের খামারের গরু চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়ম মেনে হালাল পদ্ধতিতে জবাই করা হয়।
এজেএস এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, গ্রাম-গঞ্জে থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হোটেলে প্রসেসিং করা গরু, খাসি, হাস, মুরগি ও কবুতরের মাংসের চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, এখন একটি মাত্র ফোন করলেই এজেএস এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ‘এক ক্লিকে গরুর মাংসের হাট’ মাংস পৌঁছে যাবে গ্রাহকের দ্বারে। এ ছাড়াও নগরীর বৃহত্তম ও সর্বাধুনিক শো-রুম নিয়ে বিক্রয় ও প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। চট্টগ্রামে যেকোনো মুহূর্তে যে কোনো পরিমাণ মাংসের চাহিদা পূরণে সক্ষম এজেএস এগ্রো।
গরু জবাই প্রক্রিয়া :
প্রতিটি গরু জবাই করার আগে নির্দিষ্ট একটি ‘হোল্ডিং’ এলাকাতে রাখা হয়। মানুষের শরীরে অস্ত্রোপচার করার আগে যেমন শুধু পানি খেতে দেওয়া হয় এখানেও জবাই করার আগে একই নিয়ম মানা হয়। এরমধ্যে জবাই করার আগে একজন পশুচিকিৎসক গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেন। এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর একজন দক্ষ আলেম ইসলামি হালাল পদ্ধতিতে সেই গরু জবাই করেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।