কক্সবাজারে মাছ ধরার নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ শরীফুল ইসলাম (২৬) নামের আরও এক জেলে প্রাণ হারালেন। এ নিয়ে একে একে দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে গেলেন ছয়জন। শরীফুল মঙ্গলবার রাত ১১.৪৫টায় মারা যান।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১.৪৫টা চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীফুল মারা যান। একই দিন সকাল ৭টার দিকে শাহীন, ৯টার দিকে রহিম ও দুপুর ১টার দিকে আরমান নামের আরও তিনজন জেলে মারা গেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারের ঘটনায় মোট ১০ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এই মুহুর্তে একজন ওয়ার্ডে ও দুইজন আইসিইউতে আছে। ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীকে আইসিইউতে পাঠাতে চাইলে তিনি আইসিইউ সুবিধা নেননি। লিখিত দিয়ে তিনি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে গত শনিবার দগ্ধ অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে আইয়ুব আলী নামে একজন ও সোমবার চমেক হাসপাতালে ওসমান গনী নামে আরও একজন মারা যান। শরীফুলসহ শাহীন (৩৫), রহিম উল্লাহ (৩০) ও আরমান (২২) একই দিন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে চমেক হাসপাতালে মারা গেলেন।
গত শুক্রবার সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে রাখা একটি মাছ ধরার ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জেলে দগ্ধ হন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজন অবস্থায় কক্সবাজার সদর হসপিটাল থেকে দশজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দীন মোহাম্মদ ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। চমেক হাসপাতালে আছেন—রফিকুল ইসলাম, রহিম উল্লাহ ও মইন আহমেদ। তবে তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।