আগেরদিনের মতো গতকালও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আকাশ ঢেকে ছিলো কালো মেঘে। আর দুপুর হতেই মেঘের বিষন্নতা ছড়িয়ে যায় পুরো দেশে। হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তখন থেকেই পুরো দেশজুড়ে আলোচনা তামিম ইকবালকে নিয়ে। ভক্তদের চাওয়া আবারও ক্রিকেটে ফিরে আসুক দেশ সেরা এই ওপেনার। এবার তামিমকে ডেকে পাঠিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর পুরো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের এখন অপেক্ষা গণভবন থেকে কি খবর আসছে সেদিকে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালেই চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে যান তামিম। আগামী ১৮ জুলাই পারিবারিক সফরে দুবাই যাবেন। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বেলা আড়াইটায় গণভবনে প্রবেশ করেন তামিম। তামিমের সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী আয়শা। এছাড়া আছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তামিমকে গণভবনে ডেকেছেন বলে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তামিমের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনকেও গণভবনে ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গতকাল রাতেও তামিমকে গণভবনে ডাকা হয়েছে এমন খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত সে খবরের কোন সত্যতা মেলেনি। তবে শুক্রবার মাশরাফিসহ গণভবনে যাওয়ার পর থেকে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন ভক্ত-সমর্থকরা। তামিম আবারও ক্রিকেটে ফিরে আসবেন এমন সিদ্ধান্ত শুনার অপেক্ষায় পুরো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে হঠাৎ করেই এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল।
সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। অবসরের ঘোষণার মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে অধিনায়কত্বের পর্বও শেষ হয় তামিমের।
তামিম জানান, আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া নয়। অনেকদিন ধরেই আমি এটা নিয়ে ভাবছি। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছি এটা নিয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জন্য তামিম সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অবসর–পরবর্তী জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।