মা-ভাইকে দেখতে নানুদের বাসায় চলে গিয়েছিলো নুপুর

পারিবারিক বিরোধের জেরে মা-বাবা একসাথে থাকেন না প্রায় ৩ বছর। ছোট ভাই থাকতো মায়ের কাছে আর ১০ বছর বয়সী শিশু ফারজানা আক্তার নুপুর থাকতো বাবার সাথে। গাড়িচালক বাবা মেয়ের খেয়াল রাখতে না পারায় বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদ পাহাড়িকা আবাসিক এলাকায় ফুফাতো বোনের সথে থাকতে শুরু করে নুপুর। কিন্তু দীর্ঘদিন মা-ভাইকে না দেখে আর থাকতে পারছিলো না ছোট্ট নুপুর। আর তাই গত ১৭ ডিসেম্বর কাউকে না বলেই চলে গিয়েছিলো নগরীর ওয়ারলেসে নানুর বাসায়।

শিশু নুপুরকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নুপুরের ফুফাতো বোন মিতু ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় নুপুর। এরপর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার খোঁজ পাইনি। পরেরদিন বায়েজিদ বোস্তামি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তবে আজ (শুক্রবার) দুপুরে নুপুরের বাবা ফোন করে জানায় সে তার নানুর বাসায় গেছে। পরে আমরা নিশ্চিত হতে সেখানে গিয়ে দেখে আসি।

তিনি আরও বলেন, নুপুর আগে ওর নানুদের বাসায় গিয়েছিলো, তাই চিনে। ওইদিন বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়িচালকদের জিগেস করে করে চলে গেছে। নুপুর তার মায়ের কাছে চলে গিয়েছে সেটা আমরা ধারণা করলেও তাকে সেখানে গিয়ে খুঁজতে পারিনি। মামির সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। আমরা ওয়ারলেস এলাকায়ও মাইকিং করেছিলাম। কিন্তু নুপুরের যাওয়ার পরও তার মা-মামা কেউ আমাদের জানায়নি।

এর আগে, গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে প্রতিদিনের মতোই বাসার ময়লা ফেলতে বাসার নিচে নামে নুপুর। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তাকে ফিরতে না দেখে খোঁজাখুজি শুরু করে বাসার মানুষ। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপরের দিন ১৮ ডিসেম্বর নুপুরের বাবা বায়েজিদ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ঘটনার আজ ছয় দিন পর জানতে পারে শিশু নুপুর তার মায়ের বাসায় চলে গিয়েছিল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।