চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে জোর করে জায়গা দখল করে ওয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীটোলা এলাকার গাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ উঠেছে ওই বাড়ির মৃত জানে আলম চৌধুরীর প্রথম সংসারের পুত্র চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও তার স্ত্রী মোনায়ার বেগম জানে আলম চৌধুরীর দ্বিতীয় সংসারের সন্তান শামছুদ্দিন চৌধুরী, আলা উদ্দিন চৌধুরী ও ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরীর জায়গা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোর করে দখল করে সেখানে ওয়াল নির্মাণ করে ফেলেছে।
মৃত জানে আলমের স্ত্রী বৃদ্ধ হালিমা বেগম বলেন, আমার ছেলেদের ঘরের সীমানার জায়গা অন্যায়ভাবে আগের সংসারের ছেলে গিয়াস উদ্দিন দখল করে ওয়াল নির্মাণ করে ফেলেছে। বাহির থেকে লোকজন এনে দিনদুপুরে সীমানার টিন ভেঙ্গে সাথে সাথে ওয়াল নির্মাণ তৈরি করে ফেলে এবং বাথরুম (টয়েলট) ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছে। আমি অসুস্থ মানুষ কি করে টয়েলেটে যাবো তাও বুঝতেছিনা। পুরুষরা তো যেকোন জায়গায় যেতে পারে, আমরা মহিলা মানুষ কোথায় যাবো।
তিনি আরও বলেন, আমি তাকে (গিয়াস উদ্দিনকে) বলেছি, তুমি যদি জায়গা পেয়ে থাকো এলাকার চেয়ার্যান মেম্বার আছে তাদেরকে নিয়ে বসো। জমির পরিমাপ করে তুমি যদি জায়গা পেয়ে থাকো তাহলে নিয়ে যাবে তুমি।
হালিমা বেগমের দ্বিতীয় ছেলে আলা উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার বাবার দুই সংসার। বাবার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আমার মাকে বিবাহ করেন। প্রথম সংসারের ছেলে গিয়াস উদ্দিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী ৩ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল, জাহাঙ্গীর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লোক এসে আমাদের জায়গা দখল করে সেখানে ওয়াল নির্মাণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ভেঙ্গে ফেলার পরপরই তারা এগুলোকে নিয়ে বাহিরে ফেলে দিয়েছে এবং বাথরুম ভেঙ্গে সেখানে মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে।
তবে এসব বিষয় অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এটা আমার ওয়ারিশি জায়গা। ২০১৮ সালে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বণ্টকনামার মাধ্যমে এ জায়গা আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এতদিন শামছুদ্দিন চৌধুরী আমার জায়গাটা দখল করে রেখেছে। আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে আমার জায়গা উদ্ধার করে সেখানে ওয়াল নির্মাণ করেছি।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানোর পর আমি ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার পাঠিয়েছি। আসলে তারা যেভাবে বলতেছে ওইরকম কিছু না। এটা তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। আমি তাদেরকে একাধিকবার ডেকেছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য কিন্তু তারা সময় দিচ্ছেনা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।