নাম-পরিচয় না জানা একটি বেওয়ারিশ মরদেহ পড়ে ছিলো হাসপাতাল করিডোরে। রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে চিকিৎসা নিতে আসা ভবঘুরে লোকটি রাতে মারা যাওয়ার পর সৎকারেরও কেউ ছিলো না। পরে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মানবিক কাজটির দায়িত্ব নেন স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার। ঘটনাটি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় গ্রামের।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (মাস্তান নগর হাসপাতাল) আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাছির উদ্দিন জানান, রবিবার সকাল ১০টার দিকে ৩৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে আসে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে লোকটি মারা যায়। মারা যাওয়ার পর কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করেও তার নাম পরিচয় মিলছিলো না। পরে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে জানা যায়, লোকটি ভবঘুরে এবং মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো।
এদিকে সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাস্তান নগর এলাকার সোনাপাহাড় গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত মুকবুল আহম্মেদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বেওয়ারিশ মরদেহটি দাফন-কাপনের ব্যবস্থা করছেন। তখন চলছিলো কবর খোঁড়ার কাজ।
এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, হাসপাতাল আমার বাসার পাশে হওয়ায় সবসময় রোগীদের খবরাখবর নিতাম। রবিবার দিবাগত রাতে বেওয়ারিশ মরদেহটির বিষয় জানতে পেরে তার সৎকারের সমস্ত দায়িত্ব আমি নিই। আমার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ ধরণের কাজ এর আগেও করেছি। নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এটি আমি করি।
মিরসরাইয়েল জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, হাসপাতালে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ছিলো। তার নাম-পরিচয়ও মেলেনি। মরদেহটি সৎকারের দায়িত্ব নিয়েছেন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।