মিরসরাইয়ে প্রবাসীর স্ত্রী’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিজকক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় নুসরাত জাহান মাহিয়া (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও নিহতের ভাইয়ের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড!

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

মাহিয়া দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার ওমান প্রবাসী মো. তসলিমের স্ত্রী ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সকালে অনেকবার ডাকাডাকির পরও সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন ভেতরে ঢুকেন। এ সময় ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো দেহটি ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখেন তারা। এরপর পুলিশকে খবর দিলে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

মাহিয়ার ভাই শরীফ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে শ্বশুরবাড়ির লোকজর মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তার পা ফ্লোরে লাগানো ছিলো।

তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের আমার বোনের সাথে ওমান প্রবাসী তসলিমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় বোন জামাই প্রবাসে চলে যায়। তাদের সংসার প্রথমে ভালো চলে। পরে বিভিন্ন সময় পরিবারের সবার সাথে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। আমার বোনের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহ আলম বলেন, শনিবার সকালে আমাকে খবর দেয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারি, গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। আমি চেয়ারম্যান ও পুলিশকে মারা যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেছি।

নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাসদ খাঁন জানান, খবর পেয়ে দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার একটি বাড়ির নিজকক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল করে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা, না আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।