মিরসরাইয়ে বেপরোয়া চয়েস বাসের লাঠিয়াল বাহিনী, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চয়েস বাস মালিক সমিতির লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা। উপজেলার বিভিন্ন বাস স্টপেজে লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন তারা। চয়েস বাসে ছাড়া যাত্রীরা অন্য বাসে উঠলে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে দেওয়াই তাদের কাজ। বিভিন্ন আন্ত:বাস পরিবহন স্টপেজে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করলে তাদেরকেও তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে লাঠিয়াল বাহিনীর বিরুদ্ধে।

সরজমিনে বাস স্টপেজে গেয়ে দেখা যায়, লাঠি নিয়ে বাস স্টপেজে দাড়িয়ে আছে চয়েস মালিক সমিতির লোকজন। তাদের জিজ্ঞাস করলে তারা জানান, মালিক সমিতির নির্দেশে তারা এ দায়িত্ব পালন করছেন। যাত্রীরা চয়েস বাস ছাড়া অন্য কোন বাসে উঠলেড় বাধা দিতে তাদের বেতন দিচ্ছিন মালিক সমিতি।

চয়েস বাস সার্ভিস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা আর ক্ষোভ নিয়ে পোস্ট করছেন অনেক ভুক্তভোগীরা। বিগত কিছু বছর যাবৎ চট্টগ্রাম-বারইয়ারহাট মহাসড়কে চয়েস বাস যাত্রীদের একমাত্র ভরসা থাকলেও এখন আর তা নেই। যাত্রী সাধারণের অভিযোগ চয়েস বাস তাদের সার্ভিস ঠিক না করে যাত্রীদের হয়রানি করছেন।

ভুক্তভোগী হাসান বলেন, আমি চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্র। বাড়ি থেকে কলেজে যেতে বিভিন্ন আন্ত:বাসে করে যেতে খরচ হয় ৮০ টাকা। যেখানে পৌঁছেতে লাগে এক ঘন্টারও কম সময়। কিন্ত এই চয়েস বাস করে যেতে একই গন্তব্যে ভাড়া লাগে ১৩০ টাকা। সময় লাগে প্রায় ২ ঘন্টার মতো। চয়েস বাস মালিক পক্ষ তাদের সার্ভিস ঠিক না করে জোরপূর্বক লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে তাদেরকে চয়েস বাসে উঠতে বাধ্য করছেন।

আরেক যাত্রী মেহেদী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশটারে মগের মুল্লুক পেয়েছে সবাই। স্বাধীনভাবে নিজ ইচ্ছা মতো বাসে উঠতে পারব না এটা কেমন কথা। চয়েস বাস তাদের সেবার মান না বাড়িয়ে জোরপূর্বক চয়েস বাসে উঠতে বাধ্য করতেছে। অন্য বাসে উঠতে গেলে বাসের চালক হেলপারকে মারধর করছে। দুপুরে সকালে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় তার সাথে এমন ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে চয়েস বাস মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বলেন, আমি জামেলায় আছি। পরে কথা হবে বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, চয়েস-উত্তরা বাসের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। খুব দ্রুত সময়ে শ্রমিক মালিক ও যাত্রীদের পক্ষ থেকে লোকজন ডেকে বসবো। সমস্যাটি স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।