মিরসরাইয়ে মসজিদ নিয়ে অপপ্রচার, বৈঠকে দাওয়াত দিতে গেলে হামলা

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পৌরসভার পূর্ব গোভনিয়া এলাকায় খালের ওপর মসজিদ নির্মাণ এবং খালের পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে হামলায় মো. বেলাল উদ্দিন (৪৩) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মাসজিদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রপ্রচার করায় স্থানীয় একজনকে বৈঠকে দাওয়াত দিতে গিয়ে হামলার শিকার হোন তিনি।

বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোভনিয়া জামে মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন পূর্ব গোভনিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আবুল খায়ের। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আহসান উল্লাহ মিলন পলাতক রয়েছে।

আহত বেলাল উদ্দিন মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোভনিয়া এলাকার বাসিন্দা। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপতালে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, পূর্ব গোভনিয়া জামে মসজিদটি খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। খালের চারদিকে পিলার দিয়ে মসজিদের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের জায়গা রেখে এটি নির্মাণ করা হয়।

পূর্ব গোভনিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মো. আবুল খায়ের অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানি মসজিদের কারণে আটকে আছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে ভিডিও করে অপ্রপচার করে স্থানীয় বাসিন্দা আহসান উল্লাহ মিলন। কিন্তু মসজিদ খালের ওপরে হলেও নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে।

এছাড়াও মসজিদের পাশে তার বাসা হওয়ায় আযানের কারণে তার সমস্যা হয় এই ধরণের কথা এলাকার মানুষের কাছে বলে বেড়ায়। এসব বিষয় আমাদের নজরে আসার পর মসজিদ কমিটি তাকে নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকের বিষয়ে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে বেলালসহ কয়েকজন অভিযুক্ত মিলনকে দাওয়াত দিতে গেলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে মারতে উদ্যত হয়।

এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে গাছের বাটাম দিয়ে বেলালের উপর উপুর্যুপরি হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় বেলালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মিলন এর আগেও নিজেকে জাহির করে সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলে এই ধরণের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিলো। আমরা তার দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাখের ইসলাম রাজু বলেন, “বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানি মসজিদের কারণে আটকে আছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট দেয়। বিষয়টি মসজিদ কমিটির নজরে আসলে তারা মিলনকে শুক্রবার নামাজের পর মিটিংয়ের দাওয়াত দিতে গেলে অতর্কিতভাবে হামলা করে।”

মিরসরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায় জানান, “হামলার ঘটনা সত্য। থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামীকে পাওয়া যায়নি, সে পলাতক রয়েছে। আসামীকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”