মিরসরাইয়ে মহাসড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি, বাড়ছে দুর্ঘটনা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের খুঁটির কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া খুঁটির জন্য ভয় নিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। তবে এসব খুঁটি সরানো নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে এক ধরনের ‘দায়সারা ভাব’ পরিলক্ষিত হয়েছে। কতৃপক্ষের ভাষ্য যেন এমন যে—অর্থাভাবে ধুকছে তারা, খুঁটি সরাতেও লাগবে ঘটা করে বাজেট প্রণয়ন!

শনিবার (১৩ মে) দুপুরে সরেজমিনে গেয়ে দেখা যায়, উপজলোর মিঠাছড়া বাজার ও মিরসরাই পৌরসভার ডাক বাংলো এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কের পাশে দুটি করে বিদ্যুৎ সঞ্চলনের খুঁটি রাখা হয়েছে। এগুলার কারণে মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া উচ্চ ভোল্টেজের তার টানা বড় বড় এই খুঁটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ভীতিকর হয়ে উঠেছে।

উপজেলার মিঠাছড়া এলাকার পথচারী মো. তারিফ হোসেন বলেন, মহাসড়কে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির কারণে সড়কে চলাচল করেতে অনেক ভয় লাগে। কিছুদিন আগে একজন মোটরসাইকেলচালক খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে মহাসড়কে পড়ে যান। পরে আরেকটি গাড়ি এসে তাকে চাপা দিলে ঘটাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

দীপ্ত নামের আরেক পথচারী বলেন, সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রাখার স্থানে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। বিশেষ করে একটা গাড়ি আরেকটি গাড়িকে চাপ দিলে তখন গাড়িগুলা সড়কের পাশের খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই বিদ্যুৎ সঞ্চালনের খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা সেগুলো সরিয়ে পেলার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) সাইফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে এই রকম খুঁটি থাকার কথা নয়। সড়কে যে খুঁটিগুলো আছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ খরচ দিলে সরিয়ে ফেলবো।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সীতাকুণ্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনুমতি ছাড়া রাখছে কেন ওরা। দেশটা কি মগের মুল্লক পাইছে? আমরা তাদেরকে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ সড়কের পাশে যে খুঁটি রাখা হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে বলেছিলাম। তবে মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম খারাপ ব্যবহার করছেন!

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।