মিরসরাইয়ে খোঁজ মিলেনি শ্রমিকদের, খালি হাতে ফিরলো ডুবুরি দল

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সমুদ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ের কবলে পড়ে বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ড্রেজারের নিখোঁজ ৮ শ্রমিকের কাউকে জীবিত কিংবা মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। খালি হাতে ফিরেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। উদ্ধার কাজ বুধবার সকালে আবার শুরু হচ্ছে, দীর্ঘ হচ্ছে শ্রমিকদের স্বজনদের অপেক্ষার পালা।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় উদ্ধার কাজে বিরতি দিয়েছে বলে চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান। তিনি বলেন, কয়েক ঘন্টার ঊদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ ৮ জনের কাউকে উদ্ধার সম্ভব হয়নি। ডুবুরি দলের উদ্ধার কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে যথারীতি উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। তবে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা দূর্ঘটনা কবলিত ড্রেজারটি টাগবোট দিয়ে কূলে ভিড়ানোর চেষ্টা করছে।

এরআগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার বালু উত্তোলনের ড্রেজারটি ডুবে গেলে মঙ্গলবার বেলা ১১টার থেকে প্রবল স্রোতের মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।

নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন- আনিস মোল্লার দুই ছেলে শাহীন মোল্লা (৩৮) ও ড্রেজার চালক ইমাম মোল্লা (২৫), আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা (২৬), মোকুমদার হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদার (২৫), ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে বশর হাওয়ালাদার (৩৫), লোকমান ফকিররের ছেলে জাহিদুল ফকির (২২), নুরু সরকারের ছেলে আলম সরকার (৩৮), রহমান খানের ছেলে তারেক মোল্লা (২০) । তাদের সকলের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার জৈনকাঠি থানার মোল্লাবাড়ি এলাকায়।

বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ড্রেজারে থাকা শ্রমিক আব্দুস সালাম বলেন, ডুবে যাওয়া ড্রেজারে আমিসহ ৯ শ্রমিক নিয়মিত থাকতাম। সোমবার সন্ধ্যার পর আমি ড্রেজার থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে চলে যাই। পরে রাত ১০টার পর জানতে পারি ড্রেজার ডুবে গেছে আমার সঙ্গে ড্রেজারে থাকা সহকর্মীরাও নিখোঁজ রয়েছেন।

ডুবে যাওয়া ড্রেজারের ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, ঘটনাস্থলে আরো ৬টি ড্রেজার রাখা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর অন্য ড্রেজারের শ্রমিকেরা নিরাপদ স্থানে চলে গেলেও ডুবে যাওয়া ড্রেজারের ৯ শ্রমিকের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা ড্রেজারেই ছিলো।

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, সাগরে ড্রেজারসহ ৮ শ্রমিক নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। মঙ্গলবার বিকাল নাগাদ চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের একটি ডুবরী দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।