মিরসরাইয়ে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। পাহাড়ি মাটি কেটে তা দিয়ে করা হচ্ছে ব্যবসা। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ‘জোর খাটিয়ে’ প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে সমতল করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসন অবগত হলেও এখনও ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা বলছেন তারা। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ হলেও মাটি খেকোদের ভয়ে নিরব থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ফলে নিরাপদেই পাহাড়ের গায়ে বসছে স্কেভেটরের দাঁত!

জানা গেছে, উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের সাইবেন খালী এলাকায় চলছে বেপরোয়াভাবে পাহাড় কাটার ঘটনা। এখন বছরের শেষ হওয়ায় পুরো উপজেলার ইটের ভাটাগুলোতে মাটি সরবরাহের কাজ করছে। সেই সুযোগে একটি প্রভাবশালী চক্র প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাহাড় কাটার প্রতিযোগিতা শুরু করছে। এতে যেমন পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে তেমনি ধ্বংস হচ্ছে পাহাড়ি বন। এছাড়া পাহাড়ের মাটির কাটার কারণে জীববৈচিত্র্য পড়েছে হুমকির মুখে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের সাইবেন খালীর রাজার টিলার পাশে একটি পাহাড়কে কেটে ধ্বংস করা হয়েছে। রাতের আঁধারে পাহাড়ের মাটি কেটে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে চক্রটি।
স্থানীয়রা বলছেন, এরশাদ নামের এক ব্যক্তি তার লোকদের নিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছেন। কেউ কিছু বললে তাদের ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। এ জন্য কেউ বাধা দিচ্ছিনা।

উপজেলার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ পরিবেশের যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্টরা পাহাড় কাটা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভূমিকম্প বা লাগাতার বর্ষণের সময় ভূমিধ্বস হয়ে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

এ বিষয়ে করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করা অন্যায়। যে বা যাহারা মাটি কেটে বিক্রি করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলার করেরহাট রেঞ্জের বন কর্মকর্তা শিবু দাশ বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে খবর পেয়েছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতেছি। যেই পাহাড়ের মাটি কাটে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।