মিরসরাইয়ে বাবা-দাদিকে মৃত দেখিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিজের প্রবাসী বাবা এবং দাদিকে মৃত দেখিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তারিফ হোসেন (২৫), শরীফুল ইসলাম শুভ (২০) নামে দুই ভাই এবং তাদের মা কামরুন নাহারের (৪৫) বিরুদ্ধে। ওয়ারিশ সনদ কম্পিউটারে স্কনিং এর মাধ্যমে জালিয়াতি করে বাবা নিজাম উদ্দিন এবং দাদি শরিফা খাতুনকে (৭৫) মৃত দেখিয়ে ৫১ শতক জায়গা তাদের নামে রেজিষ্ট্ররি করে নামজারিও করে পেলছেন তারা। তারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ এলাকায় বাসিন্দা।

শরিফা খাতুনের অভিযোগ করে বলেন, ওয়ারিশ সনদের ফটোকপিতে আমার নামের আগে মৃত লিখে জালিয়াতি করা হয়েছে। এভাবে ৫১ শতক সম্পদ লিখে নিয়েছেন আমার নাতি ও ছেলের স্ত্রী। সম্পত্তি আত্মসাতের পরে নাতিরা বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এখন আমি আশ্রয় নিয়েছি অন্যের বাড়িতে। সেখানে কাজ করে খাই।

শরিফা খাতুন বলেন, নিজের সম্পদের জন্য ঘুরছি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ প্রসাশনের কাছে। স্থানীয় ৯ নম্বর মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০৪/২২ স্মারকে ওয়ারিশ সনদ নিয়ে, সেই ওয়ারিশ সনদ কম্পিউটারে এডিট করে দলিল লেখক খোরশেদ আলমসহ সবাই মিলে কাজ করছে।

শরফিা খাতুনের মেয়ের ঘরের নাতি মোস্তাফিজ বলেন, আমার নানি অনেক ভালো মনের মানুষ। আমার মামি কামরুন নাহার ,মামাতো ভাই তারিফ ও শরীফুল ইসলাম সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার সব সম্পত্তি আত্মসাত করে। এখন আমার নানি শরিফা খাতুন সম্পত্তির শোকে পাগল প্রায়। আমার মামী মামাতো ভাইরা ওয়ারিশ সনদ কম্পিউটারে স্কনিং করে আমার নানি শরিফা খাতুন এবং আমার মামা তাদের আপন পিতা প্রবাসে কর্মরত নিজাম উদ্দিনকে মৃত্যু দেখিয়ে হিস্যা ভোগী ওয়ারিশ দাবি করে ৫১ শতক জায়গা তাদের নামে রেজিষ্ট্ররি করে নামজারিও করে পেলছে।

এ বিষয়ে দলিল লেখক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি জমি রেজিষ্ট্রেরে সময় ওয়ারিশ সনদ ফটোকপি দেখায়, আমি সাব-রেজিষ্ট্রোরকে বলি। উনি ওনাদেরকে মূল কপি দেখাতে বললে কম্পিউটারের স্কানি করা ওয়ারিশ সনদ দিয়ে সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে পেলে।

স্থানীয় মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম দিদার বলেন,আমি ঘটনাটি শুনছি এবং আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে বৃদ্ধা শরিফা খাতুন এসেছি। তাৎক্ষনিক ১০৪/২২ স্মারকে ওয়ারিশ সনদ কে নিয়ে গেছে তা খোঁজ করে সনদটি জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।