বিতর্কিত মিল্টন সমাদ্দারের প্রতিষ্ঠান—চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সাময়িক পরিচালনার
দায়িত্ব পেয়েছে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন (ASH Foundation)।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
তিনি বলেন, বয়োবৃদ্ধ মা-বাবা ও নিস্পাপ শিশুগুলোর চলমান খাবার-দাবার নিয়ে মিডিয়ায় আসা রিপোর্ট আমাদের ব্যথিত করেছিল। ডিআইজি হারুন সাহেবের আন্তরিক নির্দেশনা ও অনুমোদনক্রমে মিরপুর ও সাভারস্থ মিল্টন সমাদ্দাররের চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের শর্টেজ খাবার ও চিকিৎসার কোন ব্যঘাত না ঘটাতে সাময়িক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে।
চট্টগ্রামের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন যাতে সুনামের সঙ্গে এই আস্থার মর্যাদা রাখতে পারে সেজন্য দোয়া চেয়ে নাছির উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। একইসাথে মহান আল্লাহর কাছে দোয়ায় শরীক রাখার বিনীত অনুরোধ রইলো।
জানা গেছে—চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে স্টাফসহ ২১২ জন বৃদ্ধ ও শিশু রয়েছেন। সোমবার থেকে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসাব খুলে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করবে।
মিল্টন সমাদ্দার ঢাকার মিরপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তার ভাষ্য, সেখানে আশ্রয়হীন বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয় দেওয়া হয়। সম্প্রতি সাভারে জমি কিনে আশ্রয়কেন্দ্রের স্থায়ী নিবাস বানানো হয়েছে। সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১ মে রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
পুলিশ কর্মকর্তা হারুন–অর–রশীদ সাংবাদিকদের জানান, ‘মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিষ্ঠিত আশ্রয়কেন্দ্রে অসহায় শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে আসতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তিনি স্বীকার করেছেন, সেখানে (আশ্রয়কেন্দ্র) অপারেশন থিয়েটার (অস্ত্রোপচারকেন্দ্র) আছে। যদি অপারেশন থিয়েটার থাকে বা হাসপাতাল থাকে, সেটির লাইসেন্স থাকতে হয়। কিন্তু তিনি এ–সংক্রান্ত কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।’
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।