চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার প্রতিবাদে এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) এ কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার তার বক্তব্যে বলেন, মেধা কোটা কখনও অবহেলিত হয় না। যেমন ধরুন মহিলা কোটা-মহিলা কোটায় যদি ১০টি পদ থাকে, এই ১০টির মধ্যে তারাই আসবে যারা লিখিত বা অন্যান্য সব ক্যাটাগরিতে ভালো করেছে, তারাই আসবে যারা উপরের দিকে আছে। মহিলাদের মধ্যে যারা মেধা তালিকায় ভালো করবে তারাই আসবে।
তিনি বলেন, এমন নয় যে যারা মেধাবী তারা অবহেলিত হয়ে যাচ্ছে, পিছনে পড়ে যাচ্ছে।
জেলা কোটার ক্ষেত্রেও তাই। জেলার মধ্যে যারা ভালো করবে তারা আসবে, প্রত্যেক সেক্টরেই মেধার মধ্যে যারা অগ্রসর তারাই আসবে, কোটার দ্বারা কিন্তু কারো মেধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
শুধু মেধা যদি হয় তাহলে অনগ্রসর জেলাগুলো তাদের জন্য যে জেলা কোটা রাখা আছে সেখানে তারা একসেস পাবে না, এটা তো বুঝতে হবে। মহিলা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীরা পাবে না।
মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মেধার কনটেস্ট হচ্ছে। তাদের মধ্যে যারা মেধায় অগ্রসর, উপরের দিকে তারাই তো আসবে। এখানে মেধাকে আন্ডারমাইন করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, একটা দেশকে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই দেশপ্রেমিক লোক দরকার। সরকারি চাকরিতে মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক কর্মীর প্রয়োজন অধিক।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন—চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাখাওয়াত হোসেন সাকু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী সাদিত, সাংগঠনিক সম্পাদক, সনত বড়ুয়া, দিদার উর রহমান তুষার,গিয়াসউদ্দিন তালুকদার, আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, এ.জে.এম মহিউদ্দিন রনি, সুমন চৌধুরী, মনোয়ারুল আলম চৌধুরী নোবেল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক নঈম উদ্দিন খান, ক্রীড়া সম্পাদক রাজিব হাসান রাজন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর টিপু, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান সামি, সহ-সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল নিপু, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ ওয়াসিম, খন্দকার মোখতার আহমেদ আরিফ সহ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আওতাধীন ৪৪ টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক ও যুগ্ম-আহবায়ক বৃন্দ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।