মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির জাল সনদ দিয়ে ১৭ লাখ টাকা হাতালো প্রতারক চক্র

মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চট্টগ্রামের এক আমেরিকা প্রবাসীর ১৭ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে প্রতারক চক্র। এমন অভিযোগে প্রতারিত হওয়া মুক্তিযোদ্ধা আদালতের ধারস্থ হলে আদালত সদরঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালত এই আদেশ দেন বলে চট্টগ্রাম খরবকে নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

মামলার বাদী শাহ আলম চৌধুরীর অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের কমান্ডে সীতাকুণ্ড এলাকায় যুদ্ধ করেন তিনি। পরে শাহ আলম চৌধুরী আমেরিকায় প্রবাসী হন। অভিযুক্তরা তাঁকে বিভিন্ন সময়ে টেলিফোনে ও মেসেঞ্জারে বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। তিনি যদি সম্মতি দেন তাহলে অভিযুক্তরা ওই মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে কাজটি করে দেবেন।

তিনি আরও বলেন, মামলার বাদি শাহ আলম একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু দেশে না থাকায় তার সনদ ছিল না। এ জন্য বিষয়টিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে অভিযুক্তদের কথায় রাজি হন। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মো. ইমরান (৪৮) ও ফারুক হায়দার (৬৫) নামের দুই ব্যক্তি ১৭ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের প্রত্যয়নপত্র, মুক্তিযোদ্ধা নিবাসের বরাদ্দপত্র, কল্যাণ ট্রাস্টের প্রত্যয়নপত্র, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে বাদীর নামে বিভিন্ন চেকপত্র তুলে দেন, যার সবই ছিল নকল।

মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম চৌধুরী বলেন, আমি দেশে সেসব কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে কাগজপত্রগুলো জাল বলে জানানো হয়। এজন্য আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

আদালতে শুনানির সময় বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. আনিসুর রহমান মুন্না উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।