মুচলেকায় ছাড় পেলো চবি শিক্ষার্থীকে মারধরকারী জাবেদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত স্থানীয় দোকানদার মো. জাবেদকে মুচলেকা নেয়ার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে হাটহাজারী থানায় শিক্ষার্থী-স্থানীয় সংঘাতের সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্র প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, স্থানীয় ও সিএনজি চালকদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের কাছে এই মুচলেকা দেন তিনি।
এসময় ভুক্তভোগী সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হানের কাছে ক্ষমাও চায় জাবেদ।

বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আলোচনা করা হয়। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য সম্মত হয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তুলে জাবেদ জঘন্য অপরাধ করেছে। আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মামলা করতে বলেছি। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী তা করেনি। তবে জাবেদ সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। একইসাথে জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ আচরণ করবে না এ মর্মে মুচলেকা দিয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে। আমরাও তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। ভবিষ্যতে জাবেদ এমন কোনো কর্মকাণ্ড করলে তাকে থানা হাজতে নেওয়া হবে।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েকদিনের চলমান বিষয় নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছি। এর মধ্যে মারধরকারী জাবেদকে আমরা শনাক্ত করে থানায় নিয়ে এসেছি। সে মুচলেকা দিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন কাজ সে করবে না। স্থানীয় এবং সিএনজি চালকদের সাবধান করেছি। তারও আমাদের কথা দিয়েছেন সামনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।’

বৈঠকে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আরাফাত রায়হান নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল নিয়ে ১ নম্বর গেইট থেকে ক্যাম্পাসে আসার পথে স্থানীয় এক সিএনজির সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগার পরিস্থিতি হয়। এরপর ওই সিএনজি চালককে সাবধানে চালাতে বলেন আরাফাত।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে পাশ থেকে মো. জাবেদসহ বেশ কয়েকজন এসে সেই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর জের ধরে শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে স্থানীয় ও সিএনজি চালকরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।