মেরিন একাডেমিতে সন্ধানীর স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ‘ডোনেট ব্লাড সেইভ লাইভস’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হল সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সহায়তায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) একাডেমির অডিটোরিয়ামে এ্যাডজুটেন্ট নৌ প্রকৌশলী গোলাম
মোস্তফার সঞ্চালনায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইউএসটিসি’র কমিউনিটি মেডিসিনি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের উপদেষ্টা ডা. শুভ্র প্রকাশ দত্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন একাডেমির কমান্ড্যান্ট (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইবনে কায়সার তৈমুর।

তিনি বলেন, রক্তদান সর্বোৎকৃষ্ট সেবা। পৃথিবীতে সকল ধর্মেই মুমূর্ষুকে দানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সে দান যদি হয় রক্ত, তবে তার মহত্ব ছাড়িয়ে যায় অন্য সব কিছুকে। রক্ত ছাড়া কোন মানুষের জীবন কল্পনাও করা যায় না। স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানসিক প্রশান্তি আসে। মানুষ হিসেবে মানুষের উচিত অন্যের সেবায় এগিয়ে আসা। আপনার
দেয়া এক ব্যাগ রক্ত যদি একটি মুমূর্র্ষু রোগীর/মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে, তবে অবশ্যই সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসা উচিত।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন-প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোt আতিকুর রহমান, নৌ-শিক্ষা প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিরোজ মোস্তফা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ, মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লে. কমান্ডার কাজী ইফতেখার হোসেন, নৌ-প্রকৌশলী আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী হিমু বড়ুয়া, প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম খান, প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহমুদ মিয়া, মোt আসাদুজ্জামান, মোহাম্মদ শফিকুল আলম, ডা. গৌতম দাশগুপ্ত, সজল আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, সন্ধানীর সভাপতি মো. ইয়াসিনআরাফাত, সাধারণ সম্পাদক মো. মোহাইমিনুজ্জামান, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।

উল্লেখ্য, মেরিন একাডেমি হতে সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের ক্ষুদে ডাক্তারগণ ২০১৬ সালে ১৭৩ ব্যাগ, ২০১৭ সালে ৯৮ ব্যাগ, ২০১৮ সালে ৯৭ ব্যাগ, ২০১৯ সালে ২২২ ব্যাগ, ২০২২ সালে ১২৯ ব্যাগ, ২০২৩ সালে ২৪৬ ব্যাগ এবং ২০২৪ সালে ২৪২ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেন। মানবতার মন্ত্রে মানুষের জীবন বাঁচাতে প্রতি বছর একাডেমির ঐতিহ্যগত রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে ক্যাডেট, প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা, ও কর্মচারীগণ স্বেচ্ছায় রক্তদান করে আসছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।