চট্টগ্রামের কর্ণফুলী
+তে যাত্রীবেশে প্রবাসীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোহাম্মদ মাসুম (৪৬) নামে এক মলম পার্টি চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ জুলাই) সকালে কর্ণফুলী থানা পুলিশ চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের বিপরীতে মনোয়ারা প্রকাশ গণি কটেজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে আসামির স্বীকারোক্তি মতে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্টলির মনিরুল এগ্রো থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি গাড়ি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাসুম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বেলালের পুত্র।
পুলিশ জানায়, গত ৪ জুন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা নিয়ে আনোয়ারার বাড়িতে যাচ্ছিলেন প্রবাসী মো. আলমগীর (৪৫)। শাহ্ আমানত সেতু থেকে চাতরী চৌমুহনী যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন তিনি। সিএনজির পিছনে এবং সামনে চালকের সঙ্গে যাত্রীবেশে বসে থাকেন চক্রের সদস্যরা।
এক যাত্রী উঠে সিটের মাঝখানে বসান প্রবাসীকে। সেতুর টোল প্লাজা পার হওয়ারপর সিএনজি ড্রাইভারের সঙ্গে বসা যাত্রী নেমে ভিতরে এসে ভুক্তভোগীর কোলে বসে পড়েন। পিছনে থাকা দুইজন ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরে কোন শব্দ না করার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। চলন্ত সিএনজির মধ্যে ভিকটিমের থাকা নগদ ৫ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকা এবং ১টি নোকিয়া মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেন। শিকলবাহা মাজার গেইট এলাকায় আসলে ভিকটিমের চোখে মলম লাগিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেন চক্রটি।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে কর্ণফুলী থানায় ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. আলমগীর (৪৮) বাদী হয়ে মামলা করেন। এঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত শনিবার রাতে খুলশী এলাকা থেকে জড়িত মো. মাসুমকে (৪৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী একজন পেশাদার মলম পার্টির সদস্য ও সিএনজি চালক। ২০১১ সালের সিএমপি বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশের হাতে একই ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছিল। টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সিএনজিতে তুলে পথের মধ্যে একজন কোলে বসে, দুইজন দুই পাশে বসে চলন্ত গাড়িতে যাত্রীকে মারধর, গলা চেপে মৃত্যু ভয় দেখিয়ে মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে চোখের মধ্যে মলম লাগিয়ে নির্জন স্থানে ফেলে চলে যায়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।