চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম আল মামুন বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে। যে কোনো অপশক্তির মোকাবেলায় যুবলীগ অতীতের মতো আগামী দিনে শেখ হাসিনাকে আগলে রাখবে।
রোববার (২৯ মে) দুপুরে হাটহাজারী পার্বতী স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা যুবলীগ সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন।
রাজনীতিতে নিজেদের স্বচ্ছতার উল্লেখ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের দায়িত্বে থেকে রাজনীতির যেই উপভোগ্যতা পেয়েছি আগামীতে তা আর পাব কিনা জানিনা। এ পথ চলায় যদি কেউ একটি কানাকড়িও অবৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ দিতে পারে তবে আমাদের কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা আমরা মাথা পেতে নেব। আমরা কখনও সংগঠনের পদ ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিলের কাজ করিনি।
এ সময় তিনি সব ধরণের সফলতা দলীয় নেতা-কর্মীদের উৎসর্গ করে বলেন, আমার দায়িত্ব পালনকালে যত সফলতা আছে সব কৃতিত্ব দলীয় নেতা-কর্মীদের। যদি কোনো ব্যর্থতা পান, সেটি একান্ত আমার। যারা সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আমাকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে আমি আজীবন ঋণী। আগামীতে দলের যেকোনো পর্যায়ের দায়িত্ব পালনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, দিদারুল আলম ও খাদিজাতুল আনোয়ার এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান।
বিকেল ৪টার পর সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে ২৪৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে। দ্বিতীয় অধিবেশনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতিত্ব করেন। এই অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হলো চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।