যে স্থানে যুদ্ধ হতো সেই স্থানে জিয়া থাকতো না— ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন,  স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাচলের সময় যেই স্থানে যুদ্ধ হতো সেই স্থানে জিয়া থাকতো না। সে সব সময় পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করতো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে সেই দিনও জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলোনা।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

সাত বারের নির্বাচিত প্রবীণ সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শুভপুর ব্রিজ ধ্বংস করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় আমি পরে সফলভাবেই কাজটি করতে পেরেছিলাম।

তিনি বলেন, শুভপুর ব্রিজে বাধা না পেলে, মিরসরাই-সীতাকুণ্ডের জনগণ সড়কে ব্যারিকেড না দিলে পাকিস্তানি সৈন্যরা ২৫ মার্চ রাতেই চট্টগ্রাম পৌঁছে যেত। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট ও বন্দরের পাকিস্তানি সেনাদের সাথে যৌথভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে শহর দখল করতে পারত। এর ফলে একটি বড় গণহত্যা থেকে রক্ষা পেয়েছিল চট্টগ্রামবাসী।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করাও হয়তো সম্ভব হতো না। ব্রিজ ধ্বংস করে পাকসেনাদের চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশে দুই দিন দেরি করা হয় ।

যে স্থানে যুদ্ধ হতো সেই স্থানে জিয়া থাকতো না— ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন 1

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, দিয়ে গেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে তথা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গেছেন কীভাবে দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে হয়।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার, কাটাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম হুমায়ূন, করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, ইছাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাঈন মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন দিদার, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ করিম রানাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।