রাঙ্গুনিয়ায় ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম ঈদ বাজার

রাঙ্গুনিয়ায় ঈদকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে ঈদ বাজার। ক্রেতা উপস্থিতি বেশ হলেও বিক্রি এখনও ‘আশানুরূপ’ নয়। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় হতে শুরু করেছে। ঈদের সময় মাত্র ১০ দিন থাকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম দেখা গেল রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ও শাড়ি-চুড়ি, জুতোর দোকান।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গুনিয়া বিভিন্ন বড় বড় বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে পোমরা শান্তিরহাট, গোচরা, রোয়াজারহাট, চন্দ্রঘোনা জমজমাট ঈদ বাজার। পাশাপাশি একই সারিতে দরজি বাড়িগুলোতে ভিড় লক্ষ করা গেছে। অন্যদিকে রাঙ্গুনিয়া বড় বাজারগুলোতে বাইরে ফুটপাতেও বসেছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ পোশাকের দোকান।

রোয়াজারহাট বাজারে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঈদ বাজার করতে আসা মোহাম্মদ হারুন বলেন- জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া, “দুই বছর আগের ৫০০ টাকার জিনিস এখন ১২০০ টাকা দাম চাচ্ছে। পাকিস্তানি, ভারতীয়, কাপড়ের একটি থ্রি পিসের দাম ১২০০ টাকার উপরে। যে থ্রি পিসটা আগে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যেত সেটা এখন চাচ্ছে ৩৫০০ টাকা। বুঝেন অবস্থা! কিন্তু দাম বেশি হলেও কিছু করার নেই। কেনাকাটা তো করতে হবে, ছেলে-মেয়েদের খুশি আমার খুশি।

এদিকে চন্দ্রঘোনা বাজারে “মা মণি” প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ কামাল বলেন- আমাদের এখানে দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চামড়া, রেকসিনের তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের জুতা রয়েছে। তবে ক্রেতাদের ভালো রেসপন্স পাচ্ছি, আশা করছি ভালো কিছু পাবো। অনেকে আসছে দেখছে, দরদাম করে ফিরেও যাচ্ছে। কিন্তু অনেকই নিচ্ছেন। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ডেনিম পণ্য রয়েছে। শিশুদের বিভিন্ন পোশাক রয়েছে। মেয়েদের জন্য রয়েছে কুর্তি, কামিস, থ্রি-পিস, ওয়ান পিস, ওড়না ও ফ্রক।
দামের দিকটা জানতে চাইলে তিনি বলেন- ছেলেদের পোশাকগুলোর দাম ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে, আর মেয়েদের পোশাকের দাম সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এদিকে ঈদ বাজার উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব মিল্কি। তিনি বলেন, চন্দ্রঘোনা বাজার, রোয়াজারহাট বাজার, রানীহাট বাজারে পুলিশের তিনটি টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছেন। এ ছাড়া চন্দ্রঘোনা টু পোমর শান্তির হাট এবং মরিয়ম নগর টু রানাঘাট বাজার পয়র্ন্ত গাড়ি বহরে দুটি টিম কাজ করছে। সব ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ সজাগ রয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।