রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন, ৩ হাজারেরও বেশি দোকান পুড়ে ছাই

রাজধানী ঢাকার অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬ টায় লাগা এ আগুন ৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মার্কেটের চারপাশ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল। এছাড়া বিমানবাহিনীর একটি সাহায্যকারী দল এবং একটি হেলিকপ্টার আগুন নেভাতে কাজ করছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ভোর ৬ টা ১৫ থেকে আগুন নেভানো চেষ্টা চললেও বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার বদলে ছড়িয়ে পড়ছে পাশের মার্কেটগুলোতে। একপর্যায়ে বঙ্গবাজারে লাগা এ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতরের চারটি ব্যারাকে।

এদিকে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ারসার্ভিসের তিন সদস্যসহ ৮ জন আহত ও অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেছেন। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ওই মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুই মিনিটের মধ্যে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট পৌঁছায়। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ইউনিটের সংখ্যা। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হওয়ায় ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের অধিকাংশ ইউনিটকে সেখানে ডাকা হয়। বহু দূর থেকেও বঙ্গবাজারের আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকেও আগুনের ওপর পানি ছিটানো হয়।

এদিকে, ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে রয়েছে গোয়েন্দাসহ এলিট ফোর্স র‌্যাবের ২২টি দল। র‍্যাবের ঢাকার সব ব্যাটালিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৮টি টহল দল ও সাদা পোশাকে ছয়টি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে।

জানা গেছে, বঙ্গবাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে তিন হাজারের বেশি কাপড়ের দোকান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় সবগুলো দোকানই পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।