চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মোহাম্মদ ইরফান (২৮) নামে এক যুবককের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ইরফান উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সকালে উপজেলা বারশত ইউনিয়নের বোয়ালীয়া গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে
জানা গেছে, বুধবার রাতে বোয়ালিয়া গ্রামের জনৈক জাফরের ভাড়া বাসা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্ত্রী শাহিনুর আকতার (২৩)। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ইরফান ও শাহিনুরের মধ্যে ঝগড় হয়েছিলো বলে জানা গেছে।
নিহতের স্ত্রী শাহিনুর আকতার বলেন, পাঁচ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে কোনো চাকরি বা কাজ করে না। কোন সন্তানও নেই আমাদের। বিয়ের পর থেকে সংসারে অভাব লেগেই ছিল। আমার শাশুড়ি-স্বামী প্রায় সময় নির্যাতন করত। নিয়মিত ভাড়া ঘরের টাকাও দিতো না।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে ঘরে আসলে বাসা ভাড়ার টাকা দেয়ার জন্য বলি, কিন্তু টাকা না দিয়ে আমাকে মারধর করলে আমি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘরে ডুকে দেখি আমার স্বামীর দেহ ঝুলছে। আমি আশপাশের লোকজন ডেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে নিহতের পিতা গিয়াস উদ্দিন পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে বলেন, ৫ বছর আগে বটতলী ইউনিয়নের বরৈয়া গ্রামের খায়ের আহমদের মেয়ে শাহিনুরের সাথে আমার ছেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ছেলের বউ আমার বাড়ি থাকতে না চাইলে আমার ছেলে ভাড়া বাসা নেয়। একবছর আগেও আমার ছেলেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। সে ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়ে ছিলাম। গত বুধবার রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মুঠোফোনে বলে আমার ছেলে নাকি আত্মহত্যা করছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে আমার ছেলের মৃতদেহ দেখতে পাই। এটা পরিকল্পিত হত্যা। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই আমি।
জুইঁদন্ডী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, গত বছর ইরফানকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে রাস্তায় ফেলে চলে গেলে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায়ও থানায় সালিসি বৈঠকও হয়েছিল।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে একটা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।