রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম সর্বোচ্চ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম। এরইমধ্যে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে তেলের দাম। ব্যারেলপ্রতি তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৯ ডলারে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তেলের এত দাম দেখেছে বিশ্ব।

সোমবার (৭ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩৯ ডলার ছুঁয়েছে। ২০০৮ সালের পর এটি ছিলো সর্বোচ্চ। এর ফলে সোমবার এশিয়ার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।

এ ছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ওয়েল ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ফলে আজ সোমবার এশিয়ার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।

ইনডিপেনডেন্ট আরও জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে ১ লিটার পেট্রলের গড় দাম ১৫৩ পাউন্ডে পৌঁছেছে, যা আগে ছিল ১৫২ পাউন্ডে।

শুধু তেলের দাম নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের কারণে গ্যাসের দামও বেড়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে গ্যাসের দাম রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন, এ সংকট চলতে থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে তেলের দাম ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যারেলপ্রতি ১৫০ মার্কিন ডলার ছাড়াতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানি তেল দিয়ে রাশিয়ার ঘাটতি পূরণ সম্ভব হবে না। সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক রাশিয়া। তারা দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে। ফলে মস্কোর ওপর জ্বালানি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে তা সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়াতেই উত্তোলন করা হয়। আর ওই গাসের ওপর ইউরোপ অনেকটা নির্ভরশীল। মূলত ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহে তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বাড়ছে।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।