রুম দখলকে কেন্দ্র করে চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, কক্ষ ভাঙচুর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রুম দখলকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়ানো দুটি গ্রুপ হলো ‘বাংলার মুখ’ ও ‘একাকার’।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হলে হওয়া এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫-৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় ৪–৫টি কক্ষও ভাঙচুর করা হয়।

জানা গেছে, শহীদ আবদুর রব হলের ১১৯ নম্বর কক্ষের দখল নিয়ে একাকার ও বাংলার মুখ পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। সর্বশেষ রাতে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

বাংলার মুখ গ্রুপের গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু বকর তোহা বলেন, ‘একাকার গ্রুপ বহিরাগত ছেলে এনে রব হলের গেস্টরুমে বৈঠক করছিল। আমাদের জুনিয়ররা তাদের ব্যাগে ইট পাটকেল আছে বলে সন্দেহ করে। আমি এটা জানার পর একাকারের নেতা মইনুলকে কল দিয়ে বৈঠক শেষে দেখা করতে বলি। কিন্তু সে বৈঠক শেষ করে দেখা না করে একা বের হয়ে যায়। এরপরই তার জুনিয়ররা আমাদের ১১৯ নম্বর কক্ষে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ছাড়া আরও ৪–৫টি কক্ষ ভাঙচুর করে। জুনিয়রদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে আমরা তা প্রতিহত করি।’

এদিকে একাকার গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘১১৯ নম্বর কক্ষ আমাদের। কিন্তু তারা (বাংলার মুখ গ্রুপ) দাবি করে সেটাতে তারা সিট পাবে। কিন্তু কিছু দেখাতে পারেন না। এটা নিয়ে আগে থেকে ঝামেলা ছিল। গতকাল আমাদের মিটিং ছিল, মিটিং শেষ করে আমরা চলে আসছি। পরে বাংলার মুখ গ্রুপের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের উসকানিমূলক কথা বলে। সেটা থেকে কথাকাটাকাটি এবং একপর্যায়ে মারামারি হয়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যেরা পুলিশসহ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা একটা তদন্ত কমিটি করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।